ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে রিমু আক্তার (২২) নামের এক গৃহবধূর লাশ রেখে পালিয়ে গেছে স্বামীর পরিবার।
সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এই ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে।
মৃত রুমি আক্তার শহরের দক্ষিণ সালন্দর শান্তি নগরে তার স্বামী তামিম হোসেনের পরিবারের সঙ্গে বাস করতেন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, রবিবার (২৬) সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এক মৃত মেয়েকে নিয়ে কিছু মানুষ হাসপাতালে আসে। তবে কিছু সময় পরেই হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে লাশটি ফেলে তারা পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থানায় খবর দেয়।
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে পেরেই অজ্ঞাত পরিচয়ের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি অপারেশন জিয়ারুল জিয়া। তিনি জানান, লাশটি থানায় আনার পর আমরা গৃহবধূর পরিবারের সন্ধান করতে থাকি। পরে মৃতের পিতার পরিবারের সন্ধান পেয়ে তাদের অবগত করা হয়। ঘটনাটিতে মামলা হয়েছে ও তদন্ত চলছে।
এই বিষয়ে নিহত গৃহবধূ রিমুর বাবা আলম হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অনেক আশা নিয়ে ১০ মাস আগে মেয়েটিকে বিয়ে দিয়েছি। তবে জামাই নেশা করে আসে মাঝে মাঝেই মেয়েকে নির্যাতন করতো। বেশ কয়েকবার জামাইকে বুঝিয়েছি। কোনো লাভ হয়নি। কিন্তু এবার তারা মেয়েটাকে মেরেই ফেল্লো। আমি এর বিচার চাই। জানিনা কার কাছে যাবো।
এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে নিহতের স্বামীর তামিম হোসেনের বাসায় গেলে পরিবারের সদস্যদের পাওয়া যায়নি। মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার রাকিবুল ইসলাম চয়ন জানান, মেয়েটির গলায় ফাঁস লাগার চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও তার শরীরে বেশ কিছু জায়গায় ক্ষত ও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। পোষ্ট মডেমের রিপোর্ট আসলে বিস্তারিত জানা যাবে।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভীরুল ইসলাম জানান, সঠিক ঘটনা উদ্ঘাটনের জন্য মেয়েঠির স্বামী তামিমকে খোজা হচ্ছে। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।